পাঁচদিন ধরে কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মিলছে না। মাঝে মধ্যে সূর্যের দেখা মিললেও মুহূর্তেই তা ঘন কুয়াশার আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে। হিমেল হাওয়া ও হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের এই জেলা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদদের মতে, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং কুয়াশাও বজায় থাকতে পারে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল সরকার জানিয়েছেন, ‘এ রকম শীত আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। থাকবে ঘন কুয়াশাও।’
তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলা ও আলু খেতের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের চর সারডোব গ্রামের কৃষক আমজাদ আলী বলেন, ‘এমন ঠান্ডায় ভারি কাপড় ছাড়া মাঠে নামা যায় না। কিন্তু শ্রমিকেরা গেঞ্জি গায়ে দিয়েই কাজ করছে। তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু করার কিছুই নেই।’
তীব্র শীতে কাজ পাচ্ছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। চরাঞ্চলে বসবাসকারী অনেকেই শীতের উপযুক্ত পোশাকের অভাবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
অশীতিপর বৃদ্ধা কাজলী বেওয়া বলেন, ‘বাবা, এই পাতলা চাদর দিয়ে ঠান্ডা যায় না। একটা কম্বল পেলে ভালো হতো।’
হামিদা বেগম বলেন, ‘চরে শীত বেশি। কিন্তু আমাদের কেউ কাপড় দেয় না।’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, চলতি বছর জেলার ৯ উপজেলায় ৩৫ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শীত কমে যাওয়ায় নতুন করে চাহিদা দেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি অবনতি হলে পুনরায় বরাদ্দ চাওয়া হবে।