এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) এর ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ প্রত্যাহার করে পূর্বের মতো ট্যারিফ মূল্যের ওপর মূসক কর্তনের নিয়ম প্রবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে এলপিজি অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলওএবি)।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
এতে বলা হয়েছে, এলপিজি বাংলাদেশের একটি নিরাপদ এবং অপরিহার্য জ্বালানি, যা ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। দেশে এলপিজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটি সহজলভ্য হওয়ার কারণে অনেক ভোক্তার পছন্দ। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বে এলপিজি পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, এবং এর ব্যবহার বেড়েছে সচেতন জনগণের মধ্যে। অনেক দেশে সরকার পরিবেশবান্ধব এলপিজি ব্যবহারের জন্য প্রণোদনা প্রদান করছে এবং সুলভে এলপিজি সরবরাহ নিশ্চিত করছে।
এলপিজি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে এবং পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গাছ নিধন ও জ্বালানি কাঠের ব্যবহার হ্রাস করতে সহায়তা করছে। তবে, অতিরিক্ত কর আরোপের কারণে এলপিজির ব্যবহার কমে যেতে পারে, যা গ্রাহকদের কাঠখড়ি পোড়াতে আবার উৎসাহিত করবে এবং পরিবেশের ক্ষতি করবে। এর ফলে জনস্বাস্থ্যও বিপদগ্রস্ত হতে পারে।
সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এলপিজির ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ ছিল, যার ফলে প্রতি ১২ কেজি এলপিজি বোতলের ওপর ৬০ টাকা ট্যারিফ ভ্যালু ছিল এবং তার ওপর ৯ টাকা মূসক পরিশোধ করতে হতো। পরবর্তীতে উৎপাদন/বোতলজাতকরণ পর্যায়ে ৫ শতাংশ এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ২ শতাংশ মূসক আরোপ করা হয়, যা মোট ৭ শতাংশ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি ব্যবসায়ী পর্যায়ের ২ শতাংশ মূসক তুলে নেওয়া হয়েছে এবং উৎপাদন/বোতলজাতকরণ পর্যায়ের ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে একজন ভোক্তাকে প্রতি ১২ কেজি এলপিজি বোতলের ওপর ৯৫ টাকা মূসক দিতে হচ্ছে, যা তাদের জন্য বহনযোগ্য নয়।
এছাড়াও, বাংলাদেশের আসন্ন প্রাকৃতিক গ্যাস সংকট এবং এলএনজি আমদানির জটিলতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এলপিজি একমাত্র পরিবেশবান্ধব বিকল্প জ্বালানি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এলপিজি অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত এই কর আরোপ প্রত্যাহার করে পূর্বের নিয়মে ট্যারিফ মূল্যের ওপর মূসক কর্তন প্রবর্তন করা হোক, যাতে পরিবেশবান্ধব এই জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।